Academy
তথ্য-১তথ্য-২
প্রায় ২০০ বছরের শাসন, বাংলার টাকা-পয়সা অন্য দেশে পাচার করা।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মুদ্রণযন্ত্র প্রতিষ্ঠা, তৎকালীন কুসংস্কার দূরীকরণে সমাজ সংস্কারকদের অবদান।

তুমি কি মনে কর তথ্য-২ বাংলার মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার আদায়ের উন্মেষ ঘটায়? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। (উচ্চতর দক্ষতা)

Created: 3 months ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago
Ans :

হ্যাঁ, আমি মনে করি উদ্দীপকের তথ্য-২ বাংলার স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার আদায়ের উন্মেষ ঘটায়।ব্রিটিশরা ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠার পর তাদের শাসন পাকাপোক্ত করার দিকে গুরুত্ব দেয়। এজন্য তারা নিজেদের অনুগত এদেশীয় শ্রেণি তৈরির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মুদ্রণযন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। ১৮৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮২১ সালে শ্রীরামপুরে প্রতিষ্ঠিত মুদ্রণযন্ত্র এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উচ্চশিক্ষা লাভের ফলে আধুনিক শিক্ষার সংস্পর্শে এসে স্থানীয় জনগণের মধ্যেও নতুন চেতনার স্ফুরণ ঘটে। মুদ্রণযন্ত্রে পাঠ্যপুস্তক ছেপে জ্ঞানচর্চার যে সুযোগ লাভ করে, তা এদেশের মানুষের মধ্যে চেতনার জাগরণ সৃষ্টির পথ সুগম করে। এ সময় সংবেদনশীল মানুষের নজর যায় সমাজের দিকে। তারা সমাজের অনাচার নিয়ে যেমন আত্মসমালোচনা করেন, তেমনি শাসকদের অবিচারের বিরুদ্ধেও কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন। বাংলার মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে এবং - অধিকার আদায়ের উন্মেষ ঘটে। রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রমুখ ব্যক্তিগণ সমাজ সংস্কারে এগিয়ে আসেন। তারা তৎকালীন সমাজে বিদ্যমান কুসংস্কারে অবদান রাখেন।

পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকের তথ্য-২ এ উল্লিখিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মুদ্রণযন্ত্র প্রতিষ্ঠা, তৎকালীন কুসংস্কার দূরীকরণে সমাজ সংস্কারকদের অবদান ইত্যাদি বিষয় বাংলার স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার আদায়ের উন্মেষ ঘটায়।

3 months ago

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

উপনিবেশিকরণ হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি দেশ অন্য দেশকে অর্থনৈতিক শোষণ এবং লাভের উদ্দেশ্যে নিজের দখলে আনে। দখলকৃত দেশটি দখলকারী দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়। বাংলাও প্রায় দুইশ বছর ইংরেজদের অধীনে উপনিবেশ ছিল।

বাংলায় মানব বসতি প্রাচীনকাল থেকেই শুরু হয়। এই অঞ্চল ধনসম্পদে ভরপুর থাকায় বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে এসে বসতি গড়ে তোলে। বাংলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই ছিল বহিরাগতদের আকর্ষণের প্রধান কারণ।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় দীর্ঘ সময় ধরে কোনো শক্তিশালী শাসক না থাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই সময়কে মাৎস্যন্যায় যুগ বলা হয়। এটি সংস্কৃত ভাষায় 'বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে' এমন অরাজকতার সময় নির্দেশ করে। এ সময়ে বাংলা বহু রাজ্য বিভক্ত হয়ে পড়েছিল।

বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের সূচনা হয় ১৩৩৮ সালে। সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন।

সুলতানি আমলে বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন সুলতান - শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তিনি বাংলার বৃহদাংশ অধিকার করে 'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' উপাধি গ্রহণ করেন। তার শাসনকালে বাংলার ঐক্য, 'স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়

সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ বাংলার ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলার শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর শাসনকালে বাংলার অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধি লাভ করে।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...