| তথ্য-১ | তথ্য-২ |
| প্রায় ২০০ বছরের শাসন, বাংলার টাকা-পয়সা অন্য দেশে পাচার করা। | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মুদ্রণযন্ত্র প্রতিষ্ঠা, তৎকালীন কুসংস্কার দূরীকরণে সমাজ সংস্কারকদের অবদান। |
হ্যাঁ, আমি মনে করি উদ্দীপকের তথ্য-২ বাংলার স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার আদায়ের উন্মেষ ঘটায়।ব্রিটিশরা ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠার পর তাদের শাসন পাকাপোক্ত করার দিকে গুরুত্ব দেয়। এজন্য তারা নিজেদের অনুগত এদেশীয় শ্রেণি তৈরির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মুদ্রণযন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। ১৮৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮২১ সালে শ্রীরামপুরে প্রতিষ্ঠিত মুদ্রণযন্ত্র এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উচ্চশিক্ষা লাভের ফলে আধুনিক শিক্ষার সংস্পর্শে এসে স্থানীয় জনগণের মধ্যেও নতুন চেতনার স্ফুরণ ঘটে। মুদ্রণযন্ত্রে পাঠ্যপুস্তক ছেপে জ্ঞানচর্চার যে সুযোগ লাভ করে, তা এদেশের মানুষের মধ্যে চেতনার জাগরণ সৃষ্টির পথ সুগম করে। এ সময় সংবেদনশীল মানুষের নজর যায় সমাজের দিকে। তারা সমাজের অনাচার নিয়ে যেমন আত্মসমালোচনা করেন, তেমনি শাসকদের অবিচারের বিরুদ্ধেও কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন। বাংলার মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে এবং - অধিকার আদায়ের উন্মেষ ঘটে। রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রমুখ ব্যক্তিগণ সমাজ সংস্কারে এগিয়ে আসেন। তারা তৎকালীন সমাজে বিদ্যমান কুসংস্কারে অবদান রাখেন।
পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকের তথ্য-২ এ উল্লিখিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মুদ্রণযন্ত্র প্রতিষ্ঠা, তৎকালীন কুসংস্কার দূরীকরণে সমাজ সংস্কারকদের অবদান ইত্যাদি বিষয় বাংলার স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার আদায়ের উন্মেষ ঘটায়।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?